ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কেওড়া ইউনিয়নের সংগ্রামনীল রামনগর সর্বজনীন শ্রী শ্রী মদন মোহন মন্দিরের উন্নয়ন কাজ মামলা দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে সভা হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় মন্দির চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির। মন্দির কমিটির সভাপতি প্রমাংশু সাহার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি অধ্যপক ডাক্তার অসীম কুমার সাহা,সাধারন সম্পাদক তরুন কুমার কর্মকার,মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক নিরমল রায়, কোষাধ্যক্ষ রনজীৎ হালদার, দিপক সরকার ও ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার প্রমুখ।
অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ঝালকাঠি জেলা শাখার সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তপন রায় চৌধূরী, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সভাপতি অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি দে তরনী। প্রতিবাদে সভায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় মনরঞ্জন মুন্সি মন্দিরের নামে ০৭ শতাংশ জমি দলিল মূলে দান করেন। ২০০১ সালে আরো কিছু সংখ্যক জমি ১৮ হাজার টাকার বিনিময় মৌখিক ভাবে মন্দির জন্য দেন। এই ইউনিয়ানের রামনগর,সংগ্রামনীল ৩ গ্রামের মধ্যে এই মন্দিরটি তাদের পুজা অর্চনার জন্য একমাত্র ধমিয় প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পূজা অর্চনা করে আসছে। তিন্তু মনোরঞ্জন মুন্সি কাছ থেকে বলাই লাল হালদার ৬১ শতাংশ জমি ২০১২ সালে ক্রয় করেন। এর মধ্যে মন্দিরের ৪ শতাংশ জমি কৌশলে তার নামে দলিল করে নেন। এত বছর এই বিষয় গোপন ছিল। সম্প্রতি জেলা পরিষদ থেকে মন্দিরের নামে এক লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। সেই টাকার কাজ করতে গেলে মালিকানা সূত্রধরে বলাই লাল হালদার ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মন্দির পরিচালনা কমিটির ৬ সদস্যকে বিবাদী করে নালিশি অভিযোগ দায়ের করে। আদালত এই জায়গার উপরের বাদী ও বিবাদীদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা বলবত করেছে।
বুধবার এই বিষয়ে বিবাধী পক্ষ তাদের পক্ষে আরজী পেস করলে এই আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লতিফা জান্নাতি সরজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ২ সদস্য বিশিষ্ট উকিল কমিশন গঠন করেছে। মামলা দায়ের করার পরে ৩ গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসাধরণের মধ্যে বাদীর প্রতি ক্ষোভ বিরাজ করছে। এঘটনায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ মুখর হয়ে পরে। তারা যে কোন কিছুর মূল্যে মন্দিরের জমি রক্ষার দাবি জানান।